বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত ক্লুলেস শাহাদাত হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনপূর্বক হত্যার মূলহোতা ও পরিকল্পনাকারী জাহিদসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া এবং ধামরাইয়ের বিভিন্ন জাগায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত শাহাদাত ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের কোহিনুর ইসলামের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার বারইপাড়ায় একটি প্রতিষ্ঠিত কারখানার কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২২), পিতাঃ মোঃ আক্কাছ আলী, ও তার সহযোগী (২) আবু তাহের (২৪), পিতাঃ মোঃ শুকুর আলী এবং (৩) সবুজ হোসেন (২৮), পিতাঃ মোঃ মিজানুর রহমান। এরা সবাই ধামরাইয়ের আমরাইল এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, র্যাব উক্ত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ধামরাই ও আশুলিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের মূলহোতা জাহিদসহ তিন জন কে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, নিহত শাহাদের সাথে আসামি জাহিদের প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়। নিজের প্রেমিকার অন্যের সাথে বিয়ে মেনে নিতে না পারায় শাহাদাতকে হত্যা করে ধামরাই থানাধীন আমরাইল পুকুরিয়া সাকিনস্থ মনুমিয়ার কাঠবাগানে নিয়ে একটি গাছের ডালে কাঁচা পাট দিয়ে ফাঁস তৈরি করে ঝুলিয়ে রাখে যাতে করে এলাকার লোকজন জানতে পারে এটি একটি স্বাভাবিক আত্মহত্যা।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন জানান, ধামরাই ও আশুলিয়ার বিভিন্ন জাগায় অভিযান চালিয়ে ধামরাইয়ের আলোচিত শাহাদাত হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ আগস্টে ধামরাইয়ে আমরাইল গ্রামের শাহাদাত নামে এক যুবক কালিয়াকৈরে তার কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ৮ আগস্ট কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। অতঃপর গত ১২ আগস্ট ২০২১ তারিখ ধামরাই এর আমরাইল গ্রামের একটি কাঠ বাগান থেকে নিখোঁজ শাহাদাতের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধামরাই থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন পুলিশ। এরপর ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর ২৭ সেপ্টেম্বর শাহাদাতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।